মিক্সড নাটের উপকারিতা সমুহঃ
বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলুনঃ
সচরাচর আমরা একটা ভূল ধারনা করে থাকি যে, বাদাম খেলে ওজন বাড়ে। কিন্তু ২০০৮ সালে “THE JOURNAL OF NUTRITION” এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার সাথে ওজন বৃদ্ধির সম্পর্ক খুব কম।
অধিকাংশ বাদামে যেমনঃ
চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম এবং কাজুবাদামের মধ্যে ক্যালরি এবং ফ্যাটের পরিমাণ অত্যন্ত কম যা, ১৬০ক্যালরি/আউন্স।
ক্যান্সার প্রতিরোধকঃ
ব্রাজিলনাট নামের একধরনের বাদামে রয়েছে সেলেনিয়াম, যা ক্যানসার প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। ব্রাজিলনাট বোন, প্রোস্টেট এবং ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ
ব্লাড সুগার নিয়ে যারা চিন্তিত তাদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো কাঠবাদাম (ALMOND)। গবেষণায় দেখা গেছে যারা ৪মাস ধরে তাদের খাবারের ২০% ক্যালরি কাঠবাদাম থেকে গ্রহণ করেছেন তাদের ক্ষতিকর LDL কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমে গেছে এবং শরীরে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এছাড়া মেকাডেমিয়া (MACADAMIA NUTS) এ আছে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (MUFA) যা LDL লেভেলকে ১০% কমিয়ে আনে।
ব্রেইন পাওয়ার বুস্টারঃ
কাজুবাদামে রয়েছে উচ্চমাত্রায় আয়রন, জিঙ্ক ও ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি বার্ধক্যজনিত স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়াকে কমিয়ে আনে। ১ আউন্স কাজুবাদাম দেহের ম্যাগনেসিয়ামের দৈনিক চাহিদার ২৫ভাগ পূরণ করে।
বাড়বে দৃষ্টিশক্তিঃ
ক্ষুদে মহৌষধ বাদামের অনেক গুনাগুণের কথা আপনাদের জানা থাকলেও দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে এর ভূমিকার কথা জেনে অনেকেই অবাক হবেন। কাজুবাদামে থাকা জিঙ্ক দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কয়েকটি কাজুবাদাম জিঙ্কের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট।
শক্তিশালী হাড় গঠনেঃ
কাজু বাদামের শক্তিশালী ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস উপাদান আপনার শরীরের হাড়ের সুষ্ঠু গঠন নিশ্চিত করে। মজবুত আর শক্তিশালী হাড় গঠনে কাজু বাদামের সাথে অন্য কিছুর তুলনা হয়না। এছাড়া উষ্ণ বাদাম তেলের মালিশ আপনার বাচ্চার দেহের হাড় মজবুত করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়ঃ
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড একটি হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষাকারী ফ্যাটি অ্যাসিড। যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দূর করে। বাদাম এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের বেশ ভালো একটি উৎস। সবচাইতে সহজলভ্য ও প্রধান উদ্ভিজ্জ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস বাদাম। এছাড়াও বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই ধমনীতে প্লাক হওয়া প্রতিরোধ করে ও প্লাক কমাতে সাহায্য করে। ধমনীতে প্লাকের কারনে বুকে ব্যথা, করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা হার্ট অ্যাটাক হতে পারে যা বাদামের ভিটামিন ই দূর করতে সক্ষম। প্রতিদিন মাত্র ১ মুঠো বাদাম শরীরে এই ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই এর ঘাটতি কমায় ও হার্টের সমস্যা জনিত রোগ থেকে হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়ঃ
বিভিন্ন খাবারের ফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ হলেও বাদামের ফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে নিশ্চিত করেছেন গবেষকরা। বাদামে বিদ্যমান অসম্পৃক্ত চর্বি বা ফ্যাট, ফাইবার ও প্ল্যান্ট স্টেরোল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। যারা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্ত তাদের জন্য বাদাম অনেক কার্যকরী একটি ওষুধ। খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন মাত্র ১ মুঠো বাদাম কমিয়ে দেবে খারাপ কোলেস্টোরল।